গর্ভাবস্থা: ৪১ সপ্তাহ

শিশু কীভাবে বেড়ে ওঠে:

৫০ সেন্টিমিটারেরও বেশি লম্বা হওয়া সত্ত্বেও, আপনার শিশুটি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এখন তার ওজন প্রায় ৩.৬ কেজি হতে পারে। আপনার শিশুটি আর আগের মতো আরামদায়ক নয়, তাই তার নিরাপত্তার জন্য, আপনার ডাক্তার আপনাকে পরের সপ্তাহ থেকে প্রসব শুরু করার পরামর্শ দেবেন। বেশিরভাগ ডাক্তার আপনার নির্ধারিত তারিখের দুই সপ্তাহের বেশি অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন না, কারণ দেরিতে প্রসব জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। প্রায় ৫ থেকে ৬ শতাংশ মহিলা তাদের গর্ভাবস্থা তিন সপ্তাহ পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করেন।

৪২ সপ্তাহের পরে জন্ম নেওয়া শিশুরা শুষ্ক ত্বক এবং অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভোগে। দেরিতে প্রসবের ফলে জরায়ুতে সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়, যা শিশুর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে এবং মৃত সন্তান প্রসবের ঝুঁকিও বাড়ায়। এছাড়াও, সিজারিয়ান সেকশনের প্রয়োজন রয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ: প্রতিটি শিশুর বিকাশ অনন্য। আমাদের তথ্য আপনাকে ভ্রূণের বিকাশ সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

গর্ভবতী মায়ের পরিবর্তন

আপনার নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার পরেও যদি প্রসব শুরু না হয়, তাহলে চিন্তা না করা কঠিন। কিন্তু হতাশ হবেন না, আপনি চিরকাল গর্ভবতী থাকবেন না। সম্ভবত এই সপ্তাহে প্রসব নিজে থেকেই শুরু হবে, অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রসব বেদনা প্ররোচিত করার পদ্ধতিগুলি জরায়ুর অবস্থার উপর নির্ভর করবে। যদি এটি প্রসারিত না হয় এবং প্রসবের জন্য প্রস্তুত না হয়, তাহলে ডাক্তার হরমোন বা "যান্ত্রিক" পদ্ধতি ব্যবহার করবেন। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে, ডাক্তার সংকোচনকে উদ্দীপিত করার জন্য অক্সিটোসিনের মতো ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। যদি এই এবং অন্যান্য পদ্ধতিগুলি কার্যকর না হয়, তাহলে সিজারিয়ান সেকশন করা হবে।

ইতিমধ্যে, যদি আপনার শিশুর কার্যকলাপের মাত্রা কমে যায় অথবা আপনার যোনি থেকে অ্যামনিওটিক তরল বের হতে দেখেন, তাহলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারকে জানান।

[ 1 ], [ 2 ], [ 3 ], [ 4 ], [ 5 ], [ 6 ]